Author: Fahad Kabir

সম্পাদনা ও প্রকাশনা: ফাহাদ কবীর, তরুণ বার্তা। রাস্তার ধারের গরম গরম সিঙাড়া, ফুলুরি বা আলুর চপ হোক, কিংবা বাড়িতে তৈরি তেল-মশলাদার খাবার—খবরের কাগজে মুড়ে পরিবেশন করাটা আমাদের অনেকের কাছেই যেন এক স্বাভাবিক অভ্যাস। সহজলভ্যতা এবং ব্যবহারের সুবিধা এটিকে নিত্যদিনের অভ্যাসে পরিণত করেছে। তবে এই আপাত-নিরীহ অভ্যাসটি যে আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য এক গভীর ও অলক্ষিত বিষের সৃষ্টি করছে, সে বিষয়ে সচেতন হওয়া অত্যন্ত জরুরি। খবরের কাগজ কোনোভাবেই খাদ্য-গ্রেড উপাদান নয়। এটি নিম্নমানের পুনর্ব্যবহৃত পাল্প থেকে তৈরি হয় এবং এতে এমন সব ক্ষতিকারক রাসায়নিক ব্যবহার করা হয়, যা খাদ্যের সংস্পর্শে আসা উচিত নয়। মূলত দুটি কারণে খবরের কাগজে খাবার রাখা অত্যন্ত বিপজ্জনক:…

Read More

সম্পাদনা ও প্রকাশনা: ফাহাদ কবীর, তরুণ বার্তা।মুর্শিদাবাদের সদর শহর বহরমপুর থেকে ইসলামপুর – রাণীনগর হয়ে আরেকটু উত্তরে এগোলেই কাতলামারি – কাহারপাড়া এলাকা। ঝকঝকে দিনের স্নিগ্ধ বিকেলে বি. এস.এফ. রাস্তায় এসে বা ব্রিজে দাঁড়িয়ে উত্তরের প্রান্তরে চোখ ফেললেই গাছগাছালির মাথার ওপর উঁকি মারবে বিশাল বিশাল ঝাপসা অট্টালিকা। ওটাই রাজশাহী শহর, বাংলাদেশের সবুজ নগরী বা রেশম নগরী। মুর্শিদাবাদের উত্তর-পূর্ব দিক দিয়ে বয়ে যাওয়া প্রমত্তা পদ্মা এখানে মুর্শিদাবাদ ও রাজশাহী অর্থাৎ ভারত-বাংলাদেশের সীমানা ভাগ করে দিয়েছে। ইতিহাসের সাক্ষ্য বহনকারী এ অঞ্চলের কুঠিপাড়াতে এখনো মাথা উঁচু করে ভগ্নদশায় দাঁড়িয়ে আছে ইংরেজ আমলের নীলকুঠি। নদী মানেই জনপদ, নদী মানেই সভ্যতা, নদী মানেই পুরোনো দিনের ইতিহাস।…

Read More

সম্পাদনা ও প্রকাশনা: ফাহাদ কবীর, তরুণ বার্তা ।একটি প্রচলিত গল্প আছে, গল্পটি এরকম: এক গ্রামে এক কৃষক বাস করত। তার ছিল এক ছেলে। সে একটি ঘোড়া কিনে আনলো। ঘোড়াটি ভীষণ সুন্দর দেখতে ছিল এবং গ্রামবাসী ঘোড়াটির সৌন্দর্যের জন্য এটিকে চিনত। লোকে বলল, ” ঘোড়াটি তো দারুণ। নিশ্চয় এটি তোমাদের সৌভাগ্যের কারণ হবে।”একদিন ঘোড়াটি কৃষকের বাড়ি ছেড়ে চলে গেল। প্রতিবেশীরা দলে দলে এসে বলল, “আহা, ঘোড়াটির জন্য তুমি অনেক অর্থ ব্যয় করেছিলে। শেষে কিনা পালিয়ে গেলো। ঘোড়াটি তোমার দুর্ভাগ্যের কারণ।”কিছুদিন পর আশ্চর্য এক ঘটনা ঘটলো। তাদের ঘোড়াটি বাড়ি ফিরে এলো এবং সেটি আরো কয়েকটি বুনো ঘোড়া সাথে করে নিয়ে এলো। ফলে,…

Read More

সাহিত্যের দর্পণে সমকালীন সমাজের চিত্র প্রস্ফুটিত হয়, এ চিত্র পাঠকের মানসপটে সময়ের সীমারেখা অতিক্রম করে ভাবাবেগ, মানবিক ছোঁয়া আর কল্পনার উদ্রেক ঘটিয়ে সমাজকে বুঝতে শেখায়, ভাবতে শেখায়। আর ভ্রমণ মানুষকে নতুন সমাজ, নতুন মানুষ, নতুন সংস্কৃতি, বেশভূষা, আদব কায়দা বা নতুন চিন্তাধারা সবকিছুরই সংস্পর্শে নিয়ে আসে। আর এই ভ্রমণ অভিজ্ঞতা যখন সাহিত্যিকের কলমের ছোঁয়াতে সাহিত্য-গুণাবলি অর্জন করে, তা-ই হয়ে ওঠে ভ্রমণ সাহিত্য। বাংলা ভ্রমণ সাহিত্যের ইতিহাসের বীজ সুদূর চর্যাপদের যুগে নিহিত থাকলেও, ভ্রমণ সাহিত্যের সার্থক আকর গ্রন্থ সাহিত্যের পর্যায়ে উন্নীত হতে বেশ সময় লেগেছে। মূলত এ দেশে ইংরেজরা আসার পরেই বাংলা সাহিত্যিকগণ এ ধারায় সাবলীল ভাবে কলম ধরতে শুরু করেছিলেন।…

Read More