পাঁচ বছর কারাগারে, এখনও বিচার শুরু হয়নি
Delhi riots case এ Umar Khalid নামের এক তরুণ ছাত্রনেতার গল্প আজকের ভারতীয় judicial system এর একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন উত্থাপন করেছে। JNU এর প্রাক্তন ছাত্র এবং গবেষক এই ব্যক্তি গত পাঁচ বছর ধরে কারাগারে রয়েছেন, কিন্তু তার বিচার এখনও শুরু হয়নি ।
২০২০ সালের সেপ্টেম্বরে Delhi riots এর অভিযোগে গ্রেফতার হওয়া Khalid কে UAPA (Unlawful Activities Prevention Act), IPC এর বিভিন্ন ধারা এবং Arms Act এর অধীনে অভিযুক্ত করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে যে তিনি CAA বিরোধী প্রতিবাদের সময় উস্কানিমূলক বক্তব্য দিয়ে দাঙ্গার ষড়যন্ত্র করেছিলেন ।
Delhi High Court সম্প্রতি আবারও তার bail আবেদন খারিজ করে দিয়েছে, যার কারণ হিসেবে court উল্লেখ করেছে অভিযোগের গুরুত্ব এবং তার বিরুদ্ধে prima facie evidence এর উপস্থিতি । Court এর বক্তব্য অনুযায়ী, এই মামলায় ৮০০-৯০০ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য নিতে হবে এবং chargesheet হাজার হাজার পাতার ।
UAPA Act: কঠিন bail প্রক্রিয়া
UAPA Act এর Section 43D(5) অনুযায়ী, court কে bail দিতে হলে এই বিশ্বাস রাখতে হবে যে accused এর বিরুদ্ধে prima facie case প্রমাণিত নয় । এই provision মূলত traditional criminal law এর “bail is the rule, jail is the exception” নীতির বিপরীত ।
Statistics অনুযায়ী UAPA এর অধীনে গ্রেফতার হওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে মাত্র ৩ শতাংশের conviction হয় এবং ২০১৮-২০২০ সালের মধ্যে ৪,৬৯০ জন গ্রেফতারের মধ্যে মাত্র ১,০৮০ জন bail পেয়েছেন ।
বিচারিক ন্যায়বিচারের প্রশ্ন

অন্যদিকে Baba Ram Rahim (Gurmeet Ram Rahim Singh) এর ক্ষেত্রে দেখা যায় একটি ভিন্ন চিত্র। ২০১৭ সালে rape এবং murder এর জন্য convicted হয়ে ২০ বছরের কারাদণ্ড পাওয়া এই ব্যক্তি গত কয়েক বছরে ১৪ বার parole বা furlough পেয়েছেন, যার মধ্যে ২০ থেকে ৪০ দিনের ছুটি রয়েছে ।
এই তুলনামূলক পরিস্থিতি দেশের judicial system সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন তোলে। একদিকে একজন highly qualified student এবং researcher পাঁচ বছর ধরে trial ছাড়াই কারাগারে রয়েছেন, অন্যদিকে convicted criminal নিয়মিত parole পাচ্ছেন।
Constitutional Rights এবং Article 21
Indian Constitution এর Article 21 অনুযায়ী প্রতিটি ব্যক্তির life এবং personal liberty এর অধিকার রয়েছে । Prolonged detention without trial এই fundamental right এর লঙ্ঘন বলে মনে করা হয় ।
Supreme Court এর বিভিন্ন judgment এ বলা হয়েছে যে presumption of innocence একটি basic human right এবং এটি Article 21 এর অন্তর্গত । কিন্তু UAPA এর বিশেষ provision এই নীতিকে উল্টে দেয় এবং accused কে নিজের innocence প্রমাণ করতে হয় ।
Human Rights সংস্থাগুলোর উদ্বেগ
UN Human Rights office এবং বিভিন্ন international human rights organization UAPA এর ব্যবহার নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে । তাদের মতে এই আইন legitimate dissent এবং criticism কে suppress করার জন্য ব্যবহৃত হচ্ছে ।
আইনজীবী এবং human rights activist রা মনে করেন যে UAPA এর definition অত্যন্ত vague এবং এটি misuse করার সম্ভাবনা রয়েছে । “Terrorist act” এর সংজ্ঞা এতটাই ব্যাপক যে অহিংস রাজনৈতিক কার্যকলাপও এর অন্তর্গত হতে পারে ।
Judicial Delay: বিচার ব্যবস্থার চ্যালেঞ্জ
ভারতীয় judicial system এ বর্তমানে প্রায় ৫ কোটি মামলা pending রয়েছে । Judicial vacancy এবং inadequate infrastructure এই সমস্যাকে আরও জটিল করে তুলেছে ।
বিশেষজ্ঞদের মতে এই judicial delay এর ফলে justice denied হচ্ছে এবং common people এর আস্থা হারিয়ে যাচ্ছে । Umar Khalid এর মতো cases এ prolonged detention without trial এই সমস্যার একটি প্রকৃষ্ট উদাহরণ।
প্রশ্ন যা থেকে যায়
১. একই দেশের আইন ব্যবস্থায় কেন এমন differential treatment?
২. UAPA Act কি শুধু dissent suppress করার tool হয়ে উঠেছে?
৩. Presumption of innocence এর নীতি কি শুধু ordinary criminal law এ সীমাবদ্ধ?
৪. Judicial system এর structural reform কি এখনই প্রয়োজন? এই case টি শুধু Umar Khalid এর ব্যক্তিগত সমস্যা নয়, বরং ভারতের constitutional values এবং rule of law এর প্রশ্ন। Justice delayed is justice denied – এই principle আজ প্রশ্নের মুখে।