আজ ৭ই সেপ্টেম্বর ২০২৫, রবিবার সকালে পশ্চিমবঙ্গ জুড়ে ৬৩৬টি কেন্দ্রে ৩.১৯ লাখ প্রার্থী অংশ নিচ্ছেন নবম-দশম শ্রেণীর সহকারী শিক্ষক পদের জন্য নতুন recruitment পরীক্ষায়।
এই পরীক্ষা নিয়ে রয়েছে অনেক প্রশ্ন, সংশয় আর হাজারো পরিবারের স্বপ্ন। নয় বছর পর আবার শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা – কিন্তু এবারও কি স্বচ্ছতা নিশ্চিত হবে?
২০১৬ সালের কলঙ্কের ইতিহাস
২০১৬ সালে পশ্চিমবঙ্গ স্কুল সার্ভিস কমিশনের (WBSSC) নিয়োগ পরীক্ষায় যা ঘটেছিল, তা আমাদের রাজ্যের শিক্ষা ব্যবস্থার জন্য এক কালো অধ্যায় । ২৫,৭৫৩ জন শিক্ষক ও অশিক্ষক কর্মীর চাকরি বাতিল করতে বাধ্য হয়েছেন সুপ্রিম কোর্ট, এই বলে যে পুরো নিয়োগ প্রক্রিয়াটিই “দূষিত এবং কলঙ্কিত”
কি ঘটেছিল ২০১৬ সালে? তৎকালীন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের আমলে টাকার বিনিময়ে চাকরি বিক্রি হয়েছে। ED-র তল্লাশিতে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ সহযোগী অর্পিতা মুখার্জীর বাড়ি থেকে ৪৯.৮ কোটি টাকা নগদ, ৫.৮ কোটির গয়না এবং বিদেশি মুদ্রা উদ্ধার হয়েছে ।

OMR sheet manipulation, rank jumping এবং যারা blank answer paper দিয়েছে তাদেরও চাকরি দেওয়া হয়েছে – এই সব অভিযোগে সুপ্রিম কোর্ট বলেছে “manipulation and fraud on a large scale” ।
আজকের পরীক্ষা: নতুন security ব্যবস্থা, কিন্তু কতটা বিশ্বাসযোগ্য?
WBSSC চেয়ারম্যান সিদ্ধার্থ মজুমদার জানিয়েছেন যে এবার প্রতিটি question paper-এ unique security features রয়েছে । তিনি দাবি করেছেন, “৩০ মিনিটের মধ্যে identify করা যাবে কোন প্রার্থীর paper থেকে photograph তোলা হয়েছে” ।
কিন্তু এই security features কী সেটা specify করা হয়নি – এটা কি সত্যিকারের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নাকি আরেক eyewash? প্রার্থীদের সকাল ১০টায় পৌঁছাতে বলা হয়েছে, metal detector দিয়ে checking, mobile phone সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ ।
কিন্তু প্রশ্ন থেকে যায় – ২০১৬ সালে যারা corruption করেছে, তাদের সাথে জড়িত network কি সম্পূর্ণ ভেঙে দেওয়া হয়েছে?
রাজনৈতিক চাপ আর জনগণের আস্থার সংকট
বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী অভিযোগ করেছেন যে উত্তর ২৪ পরগণায় মাত্র ৫০,০০০ টাকার বিনিময়ে question paper বিক্রি হচ্ছে । এর বিরুদ্ধে পুলিশ পশ্চিম মেদিনীপুরের এক যুবক অরিন্দম পালকে গ্রেফতার করেছে, যে Facebook-এ fake post দিয়েছিল question paper বিক্রির ব্যাপারে।
কিন্তু এই গ্রেফতার কি আসল সমস্যার সমাধান নাকি symptom-এর চিকিৎসা ? যেখানে ২০১৬ সালে প্রমাণিত হয়েছে যে institutional level-এ corruption হয়েছে, সেখানে একজন Facebook user-কে গ্রেফতার করলেই কি জনগণের আস্থা ফিরবে?
৫.৬৫ লাখ প্রার্থী, মাত্র ৩৫,৭২৬ পদ – competition এর পিছনে কী আছে?
আজ ৩.১৯ লাখ এবং ১৪ই সেপ্টেম্বর আরো ২.৪৬ লাখ – মোট ৫.৬৫ লাখ প্রার্থী compete করছেন মাত্র ৩৫,৭২৬টি পদের জন্য । এই বিশাল competition-এর পিছনে রয়েছে বেকারত্বের সমস্যা এবং government job-এর প্রতি আগ্রহ।
কিন্তু এত বড় competition-এর মধ্যে transparency maintain করা কতটা সম্ভব? বিশেষ করে যখন আগের track record এত খারাপ?

Tainted candidates এর তালিকা – কতজন বাদ পড়েছে?
সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে ১,৮০৬ জন tainted candidate-এর তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে যারা এই নতুন পরীক্ষায় অংশ নিতে পারবেন না । কিন্তু প্রশ্ন হলো – এই তালিকা কতটা comprehensive?
CBI-র report অনুযায়ী ৫,৩০৩ জন candidate allegedly illegally নিয়োগ পেয়েছিল, কিন্তু তালিকায় রয়েছে মাত্র ১,৮০৬ জন । বাকিরা কোথায়? তারা কি আবার এই পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছেন?
Economic impact এবং ED-র investigation
Enforcement Directorate এর তথ্য অনুযায়ী SSC scam-এ মোট ৬০৯.৯ কোটি টাকার সম্পত্তি attach করা হয়েছে । এর মধ্যে রয়েছে Primary Teacher recruitment scam-এ ১৫১ কোটি, Assistant Teacher scam-এ ২৩৮.৭৮ কোটি এবং Group C & D staff recruitment-এ ১৬৩.৬৬ কোটি টাকা।
এই বিশাল পরিমাণ টাকা দেশের taxpayer-দের, যা corruption-এর মাধ্যমে লুট হয়েছে। এই টাকা দিয়ে কতগুলো স্কুল তৈরি করা যেত, কতজন সত্যিকারের মেধাবী শিক্ষকের বেতন দেওয়া যেত?
আজকের পরীক্ষা: সত্যিকারের পরিবর্তন নাকি পুরনো wine, নতুন bottle?
সুপ্রিম কোর্ট সতর্ক করে দিয়েছে WBSSC-কে: “You will face the music if tainted candidates are selected again”। কিন্তু এই সতর্কবাণী কতটা কার্যকর হবে, সেটা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে।
যে administrative structure এর মাধ্যমে ২০১৬ সালে এত বড় scam হয়েছে, সেই structure-এ কি কোনো fundamental change এনেছে সরকার? নাকি শুধু surface level-এ কিছু security feature যোগ করে ভাবা হচ্ছে যে সমস্যার সমাধান হয়ে গেছে?

প্রশ্ন যেগুলোর উত্তর আবশ্যক
১. NYSA এবং Data Scantech Solutions-এর মতো সংস্থাগুলো এবারও কাজ করবে কিনা? ২০১৬ সালে এরাই ছিল মূল corruption-এর হাতিয়ার।
২. OMR sheet এবার properly preserve করা হবে তো? আগে যেহেতু destruction করা হয়েছিল verification এড়ানোর জন্য।
৩. Evaluation process কতটা transparent হবে? Model answer publish করার পর challenge accept করার ব্যবস্থা থাকলেও, সেটা কতটা genuine হবে ?
৪. Result processing-এ third party involvement থাকবে কিনা? আর থাকলে সেই third party-র qualification এবং selection process কি transparent হবে?
জনগণের প্রত্যাশা বনাম বাস্তবতা

হাজারো পরিবারের সন্তান আজ পরীক্ষা দিচ্ছে এই স্বপ্নে যে তারা সরকারি চাকরি পাবে। কিন্তু যে system একবার প্রমাণিত ভাবে corrupt ছিল, সেখানে এত তাড়াতাড়ি complete transformation সম্ভব কিনা সেটা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে।
সুপ্রিম কোর্টের ডিসেম্বর ৩১ deadline অনুযায়ী পুরো process শেষ করতে হবে। এত তাড়াহুড়োর মধ্যে proper verification এবং transparency maintain করা কতটা সম্ভব?
সরকারের moral responsibility
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন “eligible teachers-দের জন্য জেলেও যেতে রাজি”। কিন্তু eligible আর ineligible-কে আলাদা করার দায়িত্ব তো সরকারেরই ছিল প্রথম থেকে। এখন যখন সুপ্রিম কোর্ট পুরো process বাতিল করে দিয়েছে, তখন এই moral posturing কতটা বিশ্বাসযোগ্য?
শেষ কথা: সতর্কতার পরামর্শ
আজকের পরীক্ষা নিঃসন্দেহে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। কিন্তু জনগণের হাজার কোটি টাকা আর লাখো পরিবারের স্বপ্ন নিয়ে যে খেলা হয়েছে, সেটার জন্য শুধু একটা নতুন পরীক্ষাই যথেষ্ট নয়।
প্রয়োজন structural reform, complete transparency এবং সব level-এ accountability। নইলে আজকের এই পরীক্ষাও হয়তো আরো একটি expensive exercise হয়ে থাকবে, যার খেসারত দিতে হবে আমাদের future generation-কে।
প্রার্থীরা আজ যে স্বপ্ন নিয়ে পরীক্ষা দিচ্ছেন, সেই স্বপ্নের মর্যাদা রক্ষা করতে পারবে কি এই ব্যবস্থা? সময়ই বলবে আজকের পরীক্ষা নতুন সূর্যোদয়ের সংকেত নাকি আরেক প্রহসনের সূচনা।
এই প্রতিবেদনটি তরুণবার্তার পক্ষ থেকে স্বাধীন সাংবাদিকতার অংশ হিসেবে প্রস্তুত করা হয়েছে। আমরা সত্য ও স্বচ্ছতার পক্ষে থেকে জনগণের প্রকৃত তথ্য জানার অধিকার নিশ্চিত করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
1 Comment
প্রশ্ন বরাবরই থেকেই যায় । দেখা যাক এবারে কী হয় 😢